হোল্ডিং ট্যাক্স এবং হোল্ডিং নম্বর

Posted by

হোল্ডিং ট্যাক্স এক একটি অঞ্চলের কাঠামোগত যেমন- আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্পের ধরন এবং প্রধান সড়ক, গলির ৩০০ ফুটের মধ্যে, গলির ৩০০ ফুটের বাইরে মূল্যায়নের মাধ্যমে কর ধার্য করা হয়।

হোল্ডিং ট্যাক্সহোল্ডিং নম্বর কি

হোল্ডিং নাম্বার হলো প্রতিটি বাসভবনের আলাদা আলাদা নাম্বার। বাংলাদেশের সব বাড়িতেই দেওয়া হয়ে থাকে।

তবে শহর এবং গ্রামাঞ্চলে হোল্ডিং নাম্বারের ধরন আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। শহর অঞ্চলের বাসাবাড়ির জন্য হোল্ডিং নাম্বার সাধারণত পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ থেকে দেওয়া হয়; আর গ্রামাঞ্চলের বাসাবাড়ি গুলোর জন্য হোল্ডিং নাম্বার প্লেট দিয়ে থাকে ইউনিয়ন পরিষদ।

হোল্ডিং নম্বর কিভাবে নেবেন

কী কী কাগজ লাগবে : খালি প্লট অথবা নির্মাণাধীন বাড়ির জন্য নতুন হোল্ডিং নম্বরের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে যা করতে হবে-

১. কর কর্মকর্তা বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করতে হবে। ২. আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্তি- ক. মালিকানা দলিল, খ. ভূমি মিউটেশন- # খাজনার রশিদ # ডিসিআর # নামজারী জমাভাগের প্রস্তাবপত্র। ৩. রাজউকের প্লট হলে রাজউক অফিসের নামজারি লাগবে।

মসরুর জুনাইদ-এর ব্লগে আরও পড়ুন- 

ফি কত লাগবে : নতুন হোল্ডিং নম্বর নিতে হলে ১০ হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ টাকা কর কর্মকর্তা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা প্রদান করেন।

কিভাবে হোল্ডিং ট্যাক্স দেবেন

হোল্ডিং ট্যাক্স এক একটি অঞ্চলের কাঠামোগত যেমন- আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্পের ধরন এবং প্রধান সড়ক, গলির ৩০০ ফুটের মধ্যে, গলির ৩০০ ফুটের বাইরে মূল্যায়নের মাধ্যমে কর ধার্য করা হয়।

বার্ষিক কত শতাংশ কর দিতে হবে : মূল্যায়নের অঙ্কের ওপর ১২ শতাংশ হারে বাষিক কর ধার্য করা হয়। ১২ শতাংশ করের মধ্যে ৭ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স, ২ শতাংশ পরিচ্ছন্ন কর ও ৩ শতাংশ বাতি কর।

মূল্যায়ন কি : যে পদ্ধতির মাধ্যমে বাড়ির বা ফ্ল্যাটের হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয় তাই মূল্যায়ন। যেমন- আপনার অঞ্চল হচ্ছে মিরপুর-২। আপনার মেইন রোডের পাশে একটি ১২০০ বর্গফুটের আবাসিক ফ্ল্যাট রয়েছে।

এখানে প্রতি বর্গফুটের জন্য মাসিক ৬.৫০ হারে পাকা বাড়ির ট্যাক্স দিতে হবে। তাহলে ৬.৫০ হলে ১২০০ বর্গফুটে আসে ৭৮০০ টাকা।

এর সঙ্গে ১০ মাস (১২ মাস থেকে ২ মাস বাদ দিতে হবে) গুণ করলে আসবে ৭৮ হাজার টাকা। ৭৮ হাজার টাকাকে ১২ দিয়ে ভাগ করতে হবে।

তাহলে আসবে ৬৫০০ টাকা করে। যেহেতু তিন মাস পর পর কর দিতে হয় সেহেতু ৬৫০০ টাকাকে ৪ দিয়ে ভাগ করলে ১৬২৫ টাকা আসে। অর্থাৎ তিন মাস পর পর আপনাকে ১৬২৬ টাকা কর দিতে হবে। মূল্যায়ন নির্ধারণ না করে কর ধার্য করা যায় না।

কর নির্ধারণকালে করদাতা যেসব সুবিধা পান : ক. আপনি যদি নিজের ফ্ল্যাটে/আবাসিকে বসবাস করেন তাহলে ৪০ শতাংশ ট্যাক্স আপনাকে দিতে হবে না।

খ. আপনি যদি আপনার বাড়ি/ফ্ল্যাট ঋণ নিয়ে তৈরি করেন তাহলে বার্ষিক ঋণের সুদ মূল্যায়ন করার সময় বাদ দিয়ে কর ধার্য করা হয়।

মসরুর জুনাইদ-এর ব্লগে আরও পড়ুন- 

গ. আপনার যদি মনে হয় আপনার কর বেশি ধার্য করা হয়েছে তাহলে আপনি কর পর্যালোচনা পরিষদের রিভিউ আবেদন করলে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ মূল্যায়ন হ্রাস করার পর কর ধার্য হবে।

ঘ. এরপরও যদি আপনার মনে হয় যে আপনার কর ধার্য করা ঠিকমতো হইনি সে ক্ষেত্রে বিভাগীয় কমিশনার আদালতে আপিল করা হলে আরও সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ মূল্যায়ন হ্রাস কর ধার্য করা হবে।

One comment

  1. Vaia…জানার আগ্রহ থেকে প্রশ্নটি করলাম..
    আমাদের বাড়ির হোল্ডিং নাম্বার 37/1 এখানে 37 দিয়ে কি বুঝাচ্ছে এবং 1 দিয়ে কি বুঝাচ্ছে কেউ একটু বলবেন প্লিজ..

মতামত দিন